December 1, 2023, 11:41 pm
ইমরান হক – স্টাফ রিপোর্টার বাংলাদেশ:
সরকারের পদত্যাগ ও তফসিল প্রত্যাখ্যান করে রাজপথে বিএনপির চলমান আন্দোলন সফল করার লক্ষ্যে নানা কৌশল অবলম্বন করছে দলটি। বিএনপির নেতারা বলছেন, এ জন্য রাজপথের আন্দোলনের ত্রুটি-বিচ্যুতি খুঁজে তা সমাধান করা, এক নেতা গ্রেপ্তার হলে অন্য নেতাকে দায়িত্ব দেওয়ার পাশাপাশি সরকার ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কর্মকান্ড পর্যবেক্ষণের কাজ চলছে।
দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত এভাবেই আন্দোলন সংগ্রাম চালিয়ে যাওয়ার কথা জানিয়ে দলটির নেতারা বলেছেন, সময়মতো দলের হাইকমান্ডের সিগনাল পেলে সবাই একযোগে মাঠে নামবেন তারা।
গত ২৮ অক্টোবর মহাসমাবেশ ঘিরে সহিংসতার পর এক দিনের হরতালের পর পাঁচ দফায় ১১ দিন অবরোধ কর্মসূচি পালন করেছে বিএনপি। গতকাল রবিবার থেকে আবার ৪৮ ঘণ্টার হরতাল কর্মসূচি চলছে। এসব আন্দোলনে বিএনপির সমমনা দলগুলোও মাঠে আছে।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির এক সদস্য বলেন, ১৪ বছর ধরে তারা সরকারবিরোধী আন্দোলন সংগ্রাম করে আসছেন। বিগত দিনের আন্দোলন সংগ্রামের অভিজ্ঞতাকে সামনে রেখে চলমান আন্দোলনের ভুল-ভ্রান্তি, ত্রুটি-বিচ্যুতি, সাংগঠনিক দুর্বলতা প্রতিমুহূর্তে মূল্যায়ন করছেন তারা। গত ২৮ অক্টোবরের মহাসমাবেশ পন্ড করে দেওয়ার পর জ্যেষ্ঠ নেতাদের গ্রেপ্তারে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সাঁড়াশি অভিযান পরিচালনার কারণে বাকি নেতাদের আত্মগোপনে থাকার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এখন কেন্দ্র ও জেলার দায়িত্বশীল নেতারা আত্মগোপনে থেকে তৃণমূল নেতাকর্মীদের দিয়ে রাজপথের আন্দোলন সংগ্রাম পরিচালনা করাচ্ছেন। কে কখন কোথায় কীভাবে নামবেন তার ছক আঁকা হচ্ছে। হাইকমান্ডের সিগনাল এলে চতুর্দিক থেকে সবাই একযোগে মাঠে নামবেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিএনপির এক ভাইস চেয়ারম্যান বলেন, চলমান আন্দোলনে জনগণের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা এবং তাদের যাতে ভোগান্তি না হয়, সে বিষয়ে লক্ষ রাখা হচ্ছে। এ জন্য শুরু থেকে আন্দোলন সংগ্রামে বিরতি দেওয়া হচ্ছে; বিশেষ করে টানা হরতালের কারণে পণ্য পরিবহনে যাতে সমস্যা না হয় এবং মানুষ তার জরুরি প্রয়োজনে যাতে দেশের এক জেলা থেকে অন্য জেলায় যেতে পারে, সে জন্য শুক্র ও শনিবারের পাশাপাশি কার্যদিবসের এক দিন হরতালমুক্ত রাখা হচ্ছে। তবে সিগনাল এলে সবাই যখন একযোগে নামবে, তখন হয়তো বিরতি দেওয়া সম্ভব হবে না।
তিনি বলেন, ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ সরকারবিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোকে সঙ্গে নিয়ে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিতে লাগাতার আন্দোলন কর্মসূচি পালন করেছে। কোনো বিরতি দেয়নি। তখন ব্যবসায়ীরা আওয়ামী লীগ সভানেত্রীর সঙ্গে সাক্ষাত করে কর্মসূচি বন্ধের অনুরোধ জানিয়েছিলেন। তিনি তখন সাড়া দেননি। কিন্তু বিএনপি আন্দোলনে বিরতি দিচ্ছে। সব দায়িত্ব তো বিএনপির নয়।