September 25, 2023, 2:39 am
স্টাফ রিপোর্টার কুড়িগ্রাম:
নাগেশ্বরীতে কমতে শুরু করেছে গঙ্গাধর ও দুধকুমর নদের পানি। নদ-নদীর পানি কমায় কিছুটা স্বস্তি ফিরেছে বানভাসীদের মাঝে। রবিবারের তুলনায় সমবার প্রত্যেকটি পয়েন্টে ৩ থেকে ৬ সেন্টিমিটার পানি কমেছে। তবে এখনও দুর্ভোগ কমেনি চরাঞ্চলের বন্যা কবলিত মানুষদের।
স্থানীয় পানি উন্নয়ন বোর্ডের নিয়ন্ত্রণ কক্ষ বলছে, ধরলা ছাড়া কুড়িগ্রামের সবকটি নদ-নদীর পানি কমছে। রবিবার (২৫জুন) দুপুর ১২ টায় দুধকুমার নদের পানি গত ১৮ ঘণ্টায় পাটেশ্বরী গেজ স্টেশনে ৫ সেন্টিমিটার কমে বিপৎসীমার ৪ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। ব্রহ্মপুত্র নদের পানি নুন খাওয়া ও চিলমারী গেজ স্টেশনে উল্লেখযোগ্য মাত্রায় হ্রাস পেয়ে যথাক্রমে বিপৎসীমার ৫৫ ও ৬১ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ধরলার পানি রাতভর কিছুটা বাড়লেও দুপুরে স্থিতিশীল হয়ে সেতু৩ পয়েন্টে বিপৎসীমার ৩৯ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল।
এদিকে পূর্বাভাস অনুযায়ী আগামী ২৭-২৮জুন থেকে পানির সমতল হ্রাস পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। আগামী দুই সপ্তাহে এ অঞ্চলে বড় ধরনের বন্যার সম্ভাবনা নেই বলে পাউবো প্রকাশিত পূর্বাভাসে উল্লেখ করা হয়েছে।জেলা প্রশাসনের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা শাখা জানায়, নদ-নদীর পানি কমছে। সার্বিক অবস্থার ওপর সতর্ক নজর রাখা হচ্ছে। চলমান পরিস্থিতিতে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোর মাঝে সহায়তা বিতরণ করছে স্থানীয় প্রশাসন।
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সাইদুল আরীফ বলেন, এখনও বন্যা পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়নি। যেভাবে নিম্নঞ্চল প্লাবিত হয়েছে সেটা স্বাভাবিক। নদ নদীর পানি কমার খবর পাওয়া যাচ্ছে। আশা করছি দুই একদিনের মধ্যে পরিস্থিতির উন্নতি হতে শুরু করবে। আমরা সার্বিক পরিস্থিতির ওপর নজর রাখছি। ক্ষতিগ্রস্ত কিছু পরিবারের মাঝে খাদ্য সহায়তা দেয়া হচ্ছে।
পাউবো কুড়িগ্রাম জেলা নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুল্লাহ আল-মামুন বলেন, বন্যা সতর্কীকরণের পূর্বাভাস অনুযায়ী শনি ও রোববার থেকে সমতলে পানি কমার সম্ভাবনা রয়েছে। আগামী দুই সপ্তাহে বড় ধরনের বন্যার আশঙ্কা নেই।