September 23, 2023, 12:08 am
স্বপন কুমার রায় খুলনাজেলা প্রতিনিধি:
পুর্ব সুন্দরবনে শিকারীরা থেমেনেই হরিণ শিকারে, শিকারউদ্বেগজনকহারেবেড়েছে। চলতি সপ্তাহে থানা পুলিশের অভিযানে হরিণের মাংস ও চামড়া উদ্ধার করেছে পুলিশ তাদের বিরুদ্ধে বন্যপ্রাণী নিধন আইনে মামলা হয়েছে।সংশ্লিষ্ট সুত্রে জানা যায় জানুয়ারী মাসে বাগেরহাট ও খুলনা সিমান্তকরা পৃথক পৃথক তিনটি অভিযানে ৭ জন শিকারী চক্রের সদস্য গ্রেপ্তার করে সুন্দরববন থেকে শিকারকরেআনাহরিণের প্রায় ১৬কেজি মাংস সহ১৯টি চামড়া উদ্ধার করেছে পুলিশ।ঐএলাকা সুত্রে জানা যায় সুন্দরবন ও পাশ্ববর্তী পেশাদার হরিণ শিকারিদের আছে বিশেষ সেন্ডিগেট তাদের সাথে এজেন্টরা তাদের মাধ্যমে বিভিন্ন এলাকায় মাংস বিক্রিকরে। আগের মত ব্যাপক হারে বেড়েছে হরিণ নিধনের পালা। সুন্দর এলাকার পার্শবর্তি একাধিক ব্যক্তি বলেন প্রকৃত হরিণ শিকারীদের আড়াল করে ক্রয়কৃত ব্যাক্তিদের নামে মামলা আসল অপরাধীদের আশ্রয় দিচ্ছে বন বিভাগ।
ঐ এলাকার অপর একটি সুত্র জানায়
বনবিভাগের উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তাদের খুশি করতে ও তদবির হিসেবেও হরিণের মাংস সরবরাহ করে থাকে শিকারিরা। এসব কারণেই প্রধানত লোকালয়ের অনেক লোকই হরিণ শিকারকে পেশা হিসেবে বেছে নিয়েছেন।’ ‘শিকারিদেরকে বনবিভাগের লোকজন চেনেন, কিন্তু তাদেরকে কখনো গ্রেপ্তার করে না।’
শুক্রবার (২২ জানুয়ারি) দিবাগত রাত পৌনে দুইটার দিকে বাগেরহাটের শরণখোলা উপজেলা সদরের ব্র্যাক অফিসের সামনে থেকে সুন্দরবন থেকে শিকার করে আনা হরিণের ১৯টি চামড়াসহ দুই পাচারকারীকে গ্রেপ্তার করে জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ।
গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন, শরণখোলা উপজেলার রাজৈর গ্রামের মো. মতিন হাওলাদারের ছেলে মো. ইলিয়াস হাওলাদার(৩৫) এবং একই উপজেলার ভদ্রপাড়া গ্রামের মো. মোশারেফ শেখের ছেলে মো. মনিরুল ইসলাম শেখ(৪৫)। গ্রেপ্তারের পরেদিন বিকেলে তাদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠান পুলিশ।বন বিভাগের মতে, বন ডাকাতরা এখন তুলনামূলকভাবে কম সক্রিয়, কিন্তু হরিণ শিকারিদের চক্রগুলোর উৎপাত সুন্দরবন ও এর পার্শ্ববর্তী অঞ্চলে আবার বেড়েছে। তবে হরিণ নিধন এবং শিকারের বিরুদ্ধে তাদের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।.