September 25, 2023, 3:40 am
মোস্তাকিম রহমান গাইবান্ধা জেলা প্রতিনিধিঃ গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জে ঢাকা থেকে স্বামীকে খুঁজতে আসা এক গৃহবধূকে (২৯) সংঘবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। এই ঘটনায় ঐ গৃহবধূ বাদী হয়ে সুন্দরগঞ্জ থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের মামলা করেছেন। ধর্ষণের মামলায় ঐ গৃহবধূর তার স্বামী কামরুল ইসলাম সাজু ও সুন্দরগঞ্জ পৌরসভার ৮নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর হাবিবুর রহমান হাবিবসহ সাতজনের নাম উল্লেখ করে মামলা দায়ের করেন হয়েছে। তবে এখনো পর্যন্ত এঘটনায় রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত জড়িত কাউকে আটক করতে পারেনি সুন্দরগঞ্জ থানার পুলিশ।
(২৭জুলাই বুধবার) উল্লেখ
মামলার বিষয়টি দৈনিক সকলের বার্তাকে নিশ্চিত করেন,
সুন্দরগঞ্জ থানার ওসি (তদন্ত) – এম এ আজিজ।
এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, ঐ গৃহবধূ চার দিন সুন্দরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন ছিলেন।
গত
(২৩ জুলাই- শনিবার) সুন্দরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হন । উল্লেখ গৃহবধূর বাড়ি নেত্রকোণা জেলার আটপাড়া উপজেলায়। গৃহবধূটির পূর্ব পরিচয়ের সূত্র ধরে ৭-৮ মাস আগে ঢাকার জিরাইল এলাকায় কামরুল হাসান সাজুর সঙ্গে গৃহবধূর বিবাহ হয়। গৃহবধূর স্বামী কামরুল হাসান সাজু সে সুন্দরগঞ্জ পৌর শহরের কলেজপাড়া এলাকার রহিম মিস্ত্রির ছেলে।
সুন্দরগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ – ওসি (তদন্ত)- এম এ আজিজ বলেন, ধর্ষণের অভিযোগে গত সোমবার (২৫ জুলাই) দিবাগত রাতে গৃহবধূর স্বামী – কামরুল হাসান সাজু ও সুন্দরগঞ্জ পৌরসভার ৮নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর – হাবিবুর রহমান হাবিবসহ সাতজনের নাম উল্লেখ করে সুন্দরগঞ্জ থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা দায়ের করেন গৃহবধূ। পরদিন (২৬শে জুলাই- মঙ্গলবার) বিকেলে গাইবান্ধা জেলা আধুনিক সদর হাসপাতালে তার ডাক্তারি পরীক্ষা নিরীক্ষা সম্পন্ন করা হয়। এরপর ঐ গৃহবধূ ঢাকায় ফিরে যান। এ ঘটনায় এই মামলায় জড়িতদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। তবে অভিযুক্ত কামরুল হাসান সাজু ও সুন্দরগঞ্জ পৌরসভার ৮নং কাউন্সিলর – হাবিবুর রহমান হাবিবের নাম জানালেও তদন্তের স্বার্থে তিনি অন্য আসামিদের নাম জানাতে রাজি হননি।
ওই গৃহবধূর অভিযোগ করে বলেন, বিয়ের পর স্বামী সাজুর সঙ্গে ঢাকায় থাকতেন তিনি। কিন্তু ঐ গৃহবধূর স্বামী সাজু ঈদুল আজহার আগে ঢাকার বাসা থেকে ফ্রিজসহ দামি জিনিসপত্র নিয়ে পালিয়ে যান। গত ৬ জুলাই ঢাকা থেকে স্বামীকে খুঁজতে সুন্দরগঞ্জে আসেন তিনি। পরে স্থানীয়দের জিজ্ঞাসা করে স্বামীর বাবার ভাড়া বাসার ঠিকানা খুঁজে বের করেন। কিন্তু ওই বাসায় ঢুকতে না দিয়ে স্বামী সাজু তাকে অন্য একটি বাসায় নিয়ে যান। ঐ বাসায় কাউন্সিলর হাবিব এসে বিয়ের কাগজ দেখতে চেয়ে তাকে ধর্ষণ করেন। এছাড়াও গৃহবধূর স্বামী সাজুর সহযোগিতায় অন্য আসামিরা তাকে বিভিন্ন জায়গায় নিয়ে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ করেন।