September 23, 2023, 1:57 am
মোঃ রাসেল ইসলাম,লালমনিরহাট প্রতিনিধিঃলালমনিরহাট সদর উপজেলার বড়বাড়ি ইউনিয়নে ১০ম শ্রেণী পড়ুয়া কিশোরী(১৭) ধর্ষণ মামলায় গত মঙ্গলবার(১৩ অক্টোবর) একজনকে গ্রেফতার করেছে সদর থানা পুলিশ।
ঘটনাটি ঘটেছে বড়বাড়ি ইউনিয়নের বড়বাসুরিয়া (কাশেম বাজার) গ্রামে।মামলার প্রধান আসামি ধর্ষক মাহফুজ রহমান সাজু(২২) একই গ্রামের বাছের আলীর ছেলে।
জানা যায়,চলতি বছরের ফেব্রুয়ারী মাসের ১০ তারিখে পড়া দেখিয়ে দেয়ার নাম করে কিশোরীকে কৌশলে বাড়িতে ডেকে নেয় ধর্ষক মাহফুর রহমান সাজু।এরপরে ফাঁকা বাড়িতে ঘরের দরজা বন্ধ করে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে।ধর্ষণের পর বিভিন্ন ধরনের ভয় ভিতি দেখিয়ে ও বিয়ে করার প্রলোভন দিয়ে একাধিকবার দৈহিক সম্পর্ক করে সাজু মিয়া।এরপরে দীর্ঘ ৭ মাস পরে কিশোরীর নানী কিশোরীর শরিরের পরিবর্তন লক্ষ করে ক্লিনিকে স্বাস্থ্য পরিক্ষা করলে দেখা যায় কিশোরী সাত মাসের অন্তঃসত্ত্বা।এরপরে পারিবারিকভাবে বিবাহের প্রস্তাব নিয়ে গেলে প্রথমে স্বীকার করলেও পরে অস্বীকার করে ধর্ষক সাজুর পরিবার।
এরপরে ভুক্তভোগী ওই কিশোরীর বাবা বাদী হয়ে লালমনিরহাট সদর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করলে তৎক্ষনাৎ ব্যবস্থা নেয় সদর থানা পুলিশ।গ্রেফতার করে মামলার ৩য় আসামী স্থানীয় মাতব্বর ও ধর্ষকের পরিবারের পরামর্শদাতা কেরামত আলী (৪৫) কে।
এদিকে আসামী গ্রেফতারের পরে ধর্ষণের শিকার ওই কিশোরীর পরিবারকে বিভিন্ন হুমকি দিচ্ছে ধর্ষকের পরিবার এরকম অভিযোগ করেন কিশোরীর বাবা,মা ও গ্রামের মাতব্বর যুবরাজ মিয়া।প্রাণ ভয়ে কিশোরীর বাবা মা সহ পরিবারের সবাই গ্রামের মাতব্বর যুবরাজ মিয়ার বাড়িতে অবস্থান করছেন।
স্থানীয়রা জানায়,মামলার তৃতীয় আসামি কেরামত আলী কে গ্রেফতারের পর থেকেই ধর্ষক সাজুর পরিবার পলাতক রয়েছে।এই তথ্যের সত্যতা যাচাই করতে ধর্ষকের বাড়িতে গেলে সেখানে ষাটোর্ধ একজন বৃদ্ধাকে ছাড়া কাউকে পাওয়া যায়নি।ধর্ষক সাজুর নানী ওই বৃদ্ধা জানান,ভয়ে সবাই পলাতক রয়েছে।
কিশোরীর পেটে বেড়েওঠা সন্তানের পিতৃপরিচয় নিশ্চিত সহ এই ঘটনার সুষ্ঠু বিচার চান ধর্ষণের শিকার কিশোরীর বাবা মা ও প্রতিবেশীরা।
এবিষয়ে কথা বললে লালমনিরহাট সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) শাহা আলম জানায়,মামলাটি তদন্তাধীন রয়েছে।ইতোমধ্যে একজন আসামি কে গ্রেফতার করা হয়েছে।দ্রুততম সময়ের মধ্যে সকল আসামিকে গ্রেফতার এর প্রকৃয়া চলমান রয়েছে।মামলাটি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।