December 1, 2023, 12:16 pm
মনিরুজ্জামান স্টাফ রিপোর্টার যশোরঃ
যশোর সদর উপজেলার শালতা গ্রামের রত্না খাতুন নামে বাকপ্রতিবন্ধী তরুণীকে ধর্ষণ ও হত্যার দায়ে একজনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত। একই সাথে আসামিকে এক লাখ টাকা অর্থদণ্ড দিয়েছে আদালত।
সোমবার যশোরে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১এর বিচারক (জেলা ও দায়রা জজ)টি এম মুসা এ রায় দেন। আদালতের অতিরিক্ত পিপি আসাদুজ্জামান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি হাবিবুর রহমান খাঁ সদর উপজেলার সালতা গ্রামের আবুল কাশেম খাঁর ছেলে।রায় ঘোষণার সময় আসামি আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
এছাড়া অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় মামলার অপর আসামি মন্টুকে বেকসুর খালাস দেওয়া হয়েছে।
মামলার বিবরণ থেকে জানা গেছে সদর উপজেলার সালতা গ্রামের শহর আলীর বাক প্রতিবন্ধী মেয়ে রত্না খাতুন( ১৪)প্রতিবেশী আকবর আলী মাস্টারের বাড়িতে গৃহকর্মী হিসেবে কাজ করতো। সেই সুবাদে হাবিবুর রহমানের সাথে পরিচিত হয়। ২০১৭ইং সালের ২৮ ই মে রত্নাকে এলাকার বড়মার মাজারে ডেকে নিয়ে যায় হাবিবুর ও মন্টু।
এ সময় তাদের দেখতে পান ওসমান পুর গ্রামের জোহর আলী শেখের ছেলে খাইরুল সেখ। কিন্তু এরপর রত্না আর ফিরে না আসায় খাইরুল শেখ সহ অন্য প্রত্যক্ষদর্শীরা ঘটনাটি তার বাবা শহরালী শেখকে জানান।
পরে ৩১ সে মে এলাকার মেঝের মোল্লার মাজারের পাশে রত্নার লাশ পাওয়া যায়। এ ঘটনার পর রত্নার বাবা শহর আলী বাদী হয়ে হাবিবুর রহমান ও মন্টুর বিরুদ্ধে যশোরের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে মামলা করেন।
মামলাটি আদালতের নির্দেশে কোতোয়ালি মডেল থানার পুলিশ এফ আই আর করে। তদন্ত শেষে হাবিবুর রহমান ও মন্টুর বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করে তদন্ত কর্মকর্তা। সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে সোমবার মামলার রায় ঘোষণা করেন আদালত।