September 23, 2023, 1:50 am
মোঃ শৌভন আহম্মেদ সবুজ কুষ্টিয়া প্রতিনিধি:
পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান ও জুনিয়াদহ ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি মোঃ আমিরুল ইসলামের বিরুদ্ধে গ্রাম্য দলাদলির অংশ হিসেবে কুট রাজনীতির কৌশল অবলম্বন করে কাল্পনিক দোলুয়া হাটের জমাজমি সংক্রান্ত ৩৫ বছরের পূর্বের জের ধরে ভিত্তিহীন অভিযোগ তুলে দোলুয়া হাট সম্পর্কিত গণপিটিশনের সঠিক তদন্ত দাবি করে ও বিভিন্ন সংবাদপত্রসহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে অপপ্রচারের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানানো হয়েছে উক্ত আমিরুল ইসলামের পক্ষ থেকে।ঘটনার বিবরণে জানা যায়, দোলুয়া হাট গঠনের নিমিত্তে আজ থেকে ৩০/৩৫ বছর আগে গণচাঁদা তোলার মত ঘটনা ঘটেছিল। তখন এলাকাবাসীর মধ্যে কয়েকজন দোলুয়া হাট স্থাপনের পর পজেশন প্রাপ্তির লক্ষ্যে নেতৃস্থানীয় লোকজন বা উদ্যোক্তাদের হাতে টাকা দিয়েছিল। সেইসব উদ্যোক্তা মেম্বার বা গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ অনেকেই আজ পৃথিবীতে নেই। দোলুয়া বাজার সরকারি ইজারাকৃত সম্পত্তি নয়। খাস জমির উপর গড়ে ওঠা দোকান-পাট ও রাস্তার পাশের সরকারি জমি ছাড়াও ব্যক্তিমালিকানাধীন জমির উপরে দোকান-ঘর বাজারটির অস্তিত্ব জানান দেয়। প্রতি সপ্তাহে দু’বার এখানে হাট বসে। আমিরুল ইসলামের বিরুদ্ধে জেলা প্রশাসক বরাবরে ১১৩ জনের স্বাক্ষরিত একটি গণপিটিশন দাখিল হলে ও সংবাদপত্রসহ ফেসবুকে বিভিন্ন প্রচারণার কারনে বিষয়টি ভেড়ামারার সর্বমহলে আলোড়ন তোলে। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, গণপিটিশনে স্বাক্ষরকারীদের বেশিরভাগেরই বয়স ৩৫ বছর পোঁজেনি।অর্থাৎ কাল্পনিক গণচাঁদা তোলার সময় তাদের টাকা প্রদানের মত উপযুক্ত বয়স হয়নি অথচ তারাও চাঁদা দিয়েছে মর্মে জেলা প্রশাসক মহোদয়ের কাছে লেখা গণপিটিশনে স্বাক্ষর দিয়ে দল ভারি করেছে। বয়স্ক লোকজন যারা রয়েছেন, তাদের কেউ কেউ বললেন, তৎকালীন সময়ে হাটের বা পজেশনের জন্য চাঁদা তোলা হয়েছিল এবং তারা চাঁদার টাকা তৎকালীন সভাপতি ও মেম্বার ওয়াহেদ এর কাছে জমা দিয়েছিলেন। উল্লেখ্য ওয়াহেদ এখন আর জীবিত নেই। ঘটনার বিষয়ে অনুসন্ধানের স্বার্থে এই প্রতিবেদক স্বাক্ষরকারীদের সাথে মোবাইল ফোন মাধ্যমে যোগাযোগ করেন, তাদের কেউই ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ সভাপতি আমিরুল ইসলামের কাছে টাকা দিয়েছেন বলে দাবি করতে পারেননি। সম্প্রতি নিজ মালিকানাধীন জমির উপরে দুটি পাইকর গাছ কেটে নিজের জমিটি সংস্কার করার সময় গাছ দুটিকে হাটের উপর বলে সন্দেহ করে এলাকাবাসী। তারা মনগড়া অভিযোগ দায়ের করে গ্রাম্য দলাদলির রাজনীতির অংশ হিসেবে। ৩ যুগ আগে সৃষ্ট দায়-দেনার বিষয়ে হঠাৎ অভিযোগ উত্থাপন ও ব্যক্তিমালিকানায় রেজিষ্ট্রিকৃত নাম খারিজকৃত জমিকে হাটের জমি বলে দাবি মানুষকে দশে চক্রে বেকায়দায় ফেলা ছাড়া অন্য কিছু নয়, বলে মন্তব্য করেন সাবেক উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান ও বর্তমানে জুনিয়াদহ ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ সভাপতি মোঃ আমিরুল ইসলাম। তিনি দোলুয়া হাটের জমাজমি নিয়ে বিভ্রান্তিকর তথ্য ছড়িয়ে তাকে রাজনৈতিক ও সামাজিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন করার উদ্দেশ্যে নীল নকশা অনুযায়ী গভীর ষড়যন্ত্র বলেই মনে করেন পুরো বিষয়টিকে। সংবাদপত্র ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে যা প্রকাশিত হয়েছে তা উদ্দেশ্য প্রণোদিত ও চক্রান্তমূলক এবং সবৈব মিথ্যা। এধরনের বেআইনী অপপ্রচারের নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে এজাতীয় অপকৌশল থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানান সংশ্লিষ্টদেরকে।