December 1, 2023, 1:28 pm
আবদুল্লাহ আল মামুন”
স্টাফ রিপোর্টারঃ-
পটুয়াখালী কলাপাড়া উপজেলার ধানখালী ইউনিয়নের লোন্দা মৌজায় আরপিসিএল কম্পানী কতর্ৃক ১৩২০ মেঘাওয়াট বিদ্যুৎ কেন্দ্রর স্থাপনের জন্য পটুয়াখালী জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের এল এ শাখা হতে কেস নং-১৩/২০১৬ মূলে কিছু অসহায় খেটে খাওয়া পরিবারের জমি অধিগ্রহণ করে। এর ফলে সকলেই তাদের জমি সহ অবকাঠামো, গাছপালা এবং পুকুর হারান। কিন্তু এলকার কিছু অসাধু লোক ও আরপিসিএল ও এল শাখার কিছু কর্মকর্তার যোগসাজসে ন্যায্য ক্ষতিপূরণ পায়নি জমি ও অবকাঠামোর প্রকৃত মালিকগণ বলে অভিযোগ করেন। আজ লোন্দা মৌজার প্রায় ২০টির বেশি অসহায় পরিবার তাদের ন্যায্য ক্ষতিপূরণ পাওয়ার আশায় বিভিন্ন মহলের দারে দারে ঘুরছে। তারা গতকাল তাদের ন্যায্য দাবী আদায়ের লক্ষ্যে তাদের স্থাপনার কাছাকাছি ঘন্টাব্যাপী মানববন্ধন কর্মসূচী পালন করেন। মানববন্ধন কর্মসূচীতে উপস্থিত ছিলেন ক্ষতিগ্রস্থ মোঃ সুলতান খান, সিপন খান, মোঃ মাসুদ পারভেজ, শাহিনুর, জুলেখা, জাহিদুল খান, আমেনা বেগম, ময়নদ্দিন খান, রহমান খান, স্বপন খান, রিপন খান, মিলন খান, সজল,আলআমনি খান, নুরমোহাম্মদ ফকির, রেজাউল ফকির, সোহেল খান, জলিল খা, জালাল খা, ফাহিমা, মুরাদ ফকির, নাছিমা, রুহুল আমিন খান, কুলসুম সহ তাদের পরিবারের সকলে। এসময় বক্তব্য রাখেন জোলেখা, আমিন খান, জালালসহ অনেকে।
সরজমিনে দেখা যায় এই পরিবারগুলোর অনেক পুরানত বতসঘর, রান্নাঘর, গোয়ালঘর, গাছপালা ও পুকুর সহ বিভিন্ন অবকাঠামোগত স্থাপনা রয়েছে। কিন্তু তারা বার বার আরপিরসিএল কোম্পানী ও জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে আবেদন করেও কোন ক্ষতিপূরণ পাচ্ছে না। অথচ যাদের ঘর নাই, গাছপালা নেই, নেই কোন পুকুর তাদের নামে অবকাঠামো ও গাছপালা দেখিয়ে বিভিন্ন ভাবে জালিয়াতি করে সরকারি টাকা আত্মসাৎ করেছে একটি মহল। জালিয়াতির মাধ্যমে যারা সরকারে টাকা আত্মসাৎ করেছে তাদের মধ্যে অন্যতম হলো মোঃ আঃ ছত্তার। এই ছত্তার খান প্রথমে নিজের নাম মোঃ ছত্তার খান, পরে তারই নাম আঃ ছত্তার, তারই দুই ছেলে বাচ্চু খান এবং মোঃ মাসুম খান সহ অনেক আত্মীয় স্বজনের নামে নতুন স্থপনাকে পুরাতন দেখিয়ে বেশকয়েটি ঘরের এওয়ার্ড পান। এছাড়া রত্তন খান, গোলাম মস্তফা খান, নুর ইসলাম খান এদের করোই ঐ মৌজায় ঘরবাড়ি, পুকুর বা গাছপালা ছিল না, অথচ তাদের প্রত্যোকের নামে পুরাতন ঘরের এওয়ার্ড হয়। অথচ এরা জমি অধিগ্রহনের নোটিশের পর নতুন স্থাপনা নির্মাণ করে পুরাতন স্থাপনার টাকা পায়। সরকারি টাকা আত্মসাতের মূল হোতা ছত্তার খান জালিয়াতির মাধ্যমে কিছু নাম পরিচয়হীন ব্যক্তিদের সরকারি টাকা পাইয়ে দিয়ে লাভবান হন এরা হলো মোঃ নাসির পিতা ধলু হাওলাদার, ফিরোজা স্বামী নুর ছাহেদ হাওলাদার, মামুন খান পিতা গোলাম মস্তাফা খান, পারভিন পিতা মিজানুর রহমান, আবুল কাসেম পিতা মৃত আব্দুল হাওলাদার, সোহাগ পিতা আবুল কাসেম হাওলাদার। সঠকি তদন্ত করলে এরকম আরো অনেক নাম বেড়িয়ে আসবে যারা অধিগ্রহনের সরকারি টাকা এভাবে আত্মসাৎ করে খেয়েছে। এদিকে প্রকৃত ক্ষতিগ্রস্থরা পাচ্ছে না তাদের ন্যয্য ক্ষতিপূরণ। এটা আমাদের দেশের সেই কৃষকদের মতো, যারা সারা বছর কষ্ট করে মাথার গাম পায়ে ফেলে সোনার ফসল ফলায় তারা তাদের ফসলের ন্যায্য মূল্য পায় না।
এবিষয়ে আঃ ছত্তার খান এর সাথে কথা বললে তিনি জানান, আমি যে নাম দিয়েছি তার টাকা পেয়েছি। কিন্তু বেনামে আমি কোন টাকা উত্তোলন করি নাই। আর যারা ক্ষতিপূরণ দাবী করছেন তাদের অবকাঠামো পুরনো এবং গাছপালাও আছে কিন্তু তারা কেন টাকা পায় নাই তার অফিস জানে আমি কিছু বলতে পারবোনা।
এবিষয়ে আরপিসিএল কোম্পানীর পটুয়াখালীর দায়িত্বে নিবার্হী প্রকৌশলী মোঃ ইকবাল এর সাথে কথা বললে তিনি জানান, অধিগ্রহণের বিষয়ে আমার কোন হাত নেই, এটা সম্পূর্ণ জেলা প্রশাসকের এলএ শাখার কাজ। আর যারা আমার কথা বলেছে আমি টাকা আত্মসাৎ করেছি সেটা মিথ্যা।
এবিষয়ে এলএ শাখার মোঃ সাইদ এর সাথে কথা বললে তিনি জানান, এ বিষয়ে জেলা প্রশাসক স্যার এর বরাবরে আবেদন করেছেন ভুক্তভোগিরা আমরা আবেদন পেয়েছি। এখন ডিসি স্যার পারমিশন দিলে পুনরায় তদন্ত করা হবে যদি তাদের অবকাঠামো থাকে তাহলে তারা ক্ষতিপূরণ পাবে।
এ বিষয়ে জেলা প্রশাসক মোঃ মতিউল ইসলাম চৌধুরী এর সাথে কথা বললে তিনি জানান, আবেদন পেয়েছি এবিষয়ে একটি তদন্ত টিম গঠন করা হবে তদন্ত টিম যে রিপোর্ট দিবে সে অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।##