September 25, 2023, 2:25 am

নোটিশ:
নিয়মিত পড়ুন এবং বিজ্ঞাপন দিন
সংবাদ শিরোনাম:
ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত শতাধিক পরিবারের পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছেন দিনাজপুর-৬ আসনের সংসদ সদস্য শিবলী সাদিক ঝিনাইদহে বিকাশ, রকেট, নগদ, উপায় প্রতারক চক্রের দুই সদস্য গ্রেফতার রাস্তা প্রশস্তকরণ সম্পন্ন হলে পাল্টে যাবে মহাদেবপুর কলাপাড়ায় বিশ্ব নদী দিবস উপলক্ষে প্রেসক্লাব চত্তরে মানববন্ধন সুদের টাকা দিতে না পারায় কৃষককে শিকলে বেঁধে নির্যাতনকারী, গ্রেফতার ০১ ডিবি পুলিশের অভিযানে গাঁজা,ইয়াবা দুই মাদক ব্যবসায়ী গ্রেফতার সুদের টাকা না দেয়ায় দিনমজুরকে শিকলবন্দী বাংলাদেশ গ্রাম ডাক্তার কল্যাণ সমিতির কলাপাড়া উপজেলার শাখার আহবায়ক কমিটি গঠন ঈশ্বরদীতে আজকের দর্পণ পত্রিকার ৯ম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উদযাপিত ঈশ্বরদীতে দৈনিক বিজয় পত্রিকার ৭ম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উদযাপিত

নীলফামারীতে উদ্যোক্তা উন্নয়ন ও সমাজকল্যাণে অগ্রহনী ভূমিকা রেখে যাচ্ছেন আব্দুল মোমিন

উজ্জ্বল আহমেদ -নীলফামারী প্রতিনিধি:
নীলফামারীতে যুব নেতৃত্ববিকাশ, উদ্যোক্তা উন্নয়ন ও সমাজকল্যানে অগ্রহনী ভূমিকা রেখে যাচ্ছে আব্দুল মোমিন। তিনি একাধারে যুব নেতৃত্ববিকাশ, সমাজকল্যাণ  ও নীলফামারীর ৬টি উপজেলার ক্ষুদ্র, অতিক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প উদ্যোক্তাদের উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছেন। তার দেখানো পথে হাঁটতেছে নীলফামারী জেলার অনেক বেকার যুবক, অনেকেই আজ উদ্যোক্তা, হয়েছে স্বাবলম্বী। উদ্যোক্তাদের প্রশিক্ষন প্রদানের মাধ্যমে দক্ষতা বৃদ্ধি, বিসিক ও ব্যাংকের মাধ্যমে আর্থিক সহায়তা প্রদান, স্থানীয় এবং জাতীয় ভাবে অংশগ্রহণসহ উদ্যোক্তা উন্নয়নের ক্ষেত্রে নিরলস ভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। উদ্যোক্তাদের সমস্যা ও প্রতিবন্ধকতায় সর্বদাই নিয়োজিত তিনি, প্রতিটি মুহুর্তে সবসময় থেকেছেন পাশে। নতুন উদ্যোক্তা তৈরী করেছেন প্রায় অর্ধশতাধীক। চাকুরী করবো না, চাকুরী দিবো এই চিন্তা ছিলো ছোটবেলা থেকেই। নীলফামারী সরকারী কলেজ থেকে সাফল্যের সাথে রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগে  স্নাতক পাশ করলেও তিনি চাকুরীর আবেদন পর্যন্ত করেন নাই। স্বপ্নকে বাস্তবে রুপ দেওয়ার জন্য আব্দুল মোমিন নিজে গড়ে তোলেন দ্বীপ্তমান গ্রুপ নামের একটি প্রতিষ্ঠান, উৎপাদিত হচ্ছে চামড়াজাত পন্য। জেলা পেরিয়ে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে বিক্রি হচ্ছে তার প্রতিষ্ঠানের উৎপাদিত পণ্য। নীলফামারীর এই যুব উদ্যোক্তা মনে করেন একদিন তার প্রতিষ্ঠানের উৎপাদিত দ্বীপ্তমান গ্রুপের পণ্য স্থানীয় ও দেশের বাজারের পাশাপাশি বিদেশের বাজারে রপ্তানী হবে, জাতীয় অর্থনীতিতে অবদান রাখবে। বর্তমানে তিনি জাতীয় পর্যায়ের প্রধান উদ্যোক্তা ভিত্তিক প্রতিষ্ঠান “জাতীয় ক্ষদ্র ও কুটির শিল্প সমিতি, বাংলাদেশ (নাসিব)” নীলফামারী জেলার সভাপতি হিসাবে নিষ্ঠার সাথে দ্বায়িত্ব পালন করে যাচ্ছে। কাজ করে যাচ্ছেন স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মানে আমার চোখে আগামীর নীলফামারী গঠনের জন্য।

রংপুর বিভাগের সীমান্তবর্তী জেলা নীলফামারীর সদর উপজেলায় কাঞ্চন পাড়ায় মো: আব্দুল মোমিন ১ই জানুয়ারী ১৯৯৮ সালে জন্মগ্রহণ করেন। চার ভাইবোনের মধ্যে দ্বিতীয়। গ্রামে বসবাস করায় ছোটবেলায় খুব কাছে থেকে দেখেছিলেন মানুষের দুঃখ ও কষ্ট! অন্যের এই কষ্ট তাকে প্রচুর ব্যথিত করতো, স্বপ্ন দেখেছিলেন সমাজের জন্য কিছু করবে। সমাজের মানুষের এই দুঃখ ও কষ্ট লাগব করবে। তখন থেকে সাধ্যমতো অসহায় মানুষের পাশে দাড়ানো ও সহযোগিতা করতে থাকে। কাজের স্বীকৃতি স্বরুপ পেয়েছেন মানুষের ভালবাসা, যা তাকে অনুপ্রেরণা যুগিয়েছে বারেবারে। সমাজের এই অসহায় মানুষের কষ্ট মনের মাঝে আঘাত দিতে থাকে ও সমাজের মানুষের পাশে দাঁড়ানোর জন্য কাজের পরিধি বিস্তারের লক্ষে ২০১২ সাল থেকে বিভিন্ন সেচ্ছাসেবী যুব সংগঠনের সাথে কাজ শুরু করে। ২০১৩ সালে স্বপ্ন দেখেন মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ভিত্তিক নিজেই একটি সামাজিক উন্নয়নমূলক সেচ্ছাসেবী প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলার। সেই স্বপ্ন থেকে নীলফামারী সদর উপজেলায় ২০১৪ সালে স্ব-উদ্যোগে গড়ে তোলেন কয়েকজন উদীয়মান যুবকদের নিয়ে দ্বীপ্তমান যুব উন্নয়ন সংস্থা। বর্তমানে সদস্য ২৪০জন। প্রতিষ্ঠানটি যাএা শুরু থেকে জেলার ৬টি উপজেলায় কাজ করে যাচ্ছে। প্রতিষ্ঠানটি যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর, সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সমাজসেবা অধিদপ্তর, শিল্প মন্ত্রণালয়ের বিসিক, মহিলা ও শিশু মন্ত্রণালয়ের মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরে থেকে সরকারী রেজিষ্ট্রেশন সাফল্যের সাথে অর্জন করে। প্রতিষ্ঠানটি গঠন করার পর সবাই আগ্রহের সাথে পাশে থাকলেও কিছুদিনের মধ্যে অনেকেই দূরে চলে যায়। নিজের জমানো অর্থে প্রতিষ্ঠানটি সামাজিক উন্নয়নমূলক কাজ করে যায় প্রতিষ্টানটির প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি আব্দুল মোমিন। বরাবরই আর্থিক কারনে থেমে যেতে চায় প্রতিষ্ঠানটির সকল কার্যক্রম তবে প্রতিকূলতা পেরিয়ে কাজ করে যেতে চান সমাজের মানুষের জন্য। যে বয়সে বন্ধুবান্ধবের সাথে সময় কাটানো মুহুর্ত সেই বয়সে লেখাপড়ার পাশাপাশি দ্বায়িত্ব নিয়েছিলেন সমাজ গঠনের। সমাজ গঠনের জন্য কিছু করাই যেন তার জীবনের প্রধান উদ্দেশ্য হয়ে দাঁড়িয়েছিলো। সমাজের অনেকেই সাধুবাদ জানালেও কিছু মানুষ প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করতে পিছুপা হয় নাই। অদম্য সাহসী এই যুব সংগঠক ও উদ্যোক্তা আব্দুল মোমিনকে মানসিকক ভাবে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করতে পারে নাই। কাজে স্বীকৃত স্বরুপ উদ্যোক্তা এওয়ার্ড, যুব ভলান্টিয়ার এওয়ার্ড, বিশেষ পরিবেশ সন্মাননা এওয়ার্ড, ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প উদ্যোক্তা সন্মাননা, শ্রেষ্ঠ সংগঠক সহ বেশ কিছু পুরষ্কার পেয়েছেন। তার সবচেয়ে বড় পুরষ্কার হচ্ছে সমাজের ইতিবাচক পরিবর্তনের জন্য কাজ করা ও মানষের ভালোবাসা।

নীলফামারীর ৬উপজেলার যুব সংগঠন ও উদ্যোক্তা তারই নেতৃত্বে সর্বপ্রথম সংগঠিত হয়, বর্তমানে রংপুর বিভাগের ৮টি জেলার ৫৮টি উপজেলার নেতৃত্ব প্রদান করতেছে ও যুব নেতৃত্ব বিকাশে সমাজের উন্নয়নের জন্য সকলকেই নিয়ে ঐক্যবদ্ধ ভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। তৃণমূল পর্যায়ের বেকার যুবক ও যুব নারীদের স্বনির্ভর করার অংশ হিসেবে যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের সহযোগিতায় ৫২০জন বেকার যুবকদের গরু মোটাতাজাকরন প্রশিক্ষণ, ২১০ জনকে হাঁস-মুরগি প্রশিক্ষণ, ৫০জনকে টেইলার্স প্রশিক্ষন, ৬০জনকে গবাদী পশু প্রশিক্ষন, মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের মাধ্যমে প্রায় ৭০জন নারীকে কর্মসংস্থানমুখী প্রশিক্ষন, বিসিকের মাধ্যমে উদ্যোক্তা ভিত্তিক ১৩০জনকে উদ্যোক্তা উন্নয়ন প্রশিক্ষন, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মাধ্যমে ৭৫ জনকে কৃষি ভিত্তিক প্রশিক্ষন, টিটিসির মাধ্যমে ৩০জনকে দক্ষতা ও ভাষা ভিত্তিক প্রশিক্ষণের মাধ্যমে কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে কাজ করে যাচ্ছে সফলতার সাথে। নীলফামারীর স্থানীয় উদ্যোক্তা তৈরীর জন্য প্রায় ২শত জনকে উৎপাদনশীলতা বিষয়ক কর্মশালা, ৫ দিন ব্যাপি পাটজাত পণ্য উৎপাদন ও বাজারজাত করণ প্রশিক্ষণের মাধ্যমে উদ্যোক্তা তৈরী করেছেন। প্রশিক্ষনের মাধ্যমে যুবক ও যুব নারীদের কর্মসংস্থান সৃষ্টির মাধ্যমে অনেক বেকার যুব/নারী স্বাবলম্বী হয়েছে। তিনি উদ্যোক্তাদের উন্নয়নের জন্য পরামর্শ, প্রতিটি ক্ষেত্রে সহযোগিতার মাধ্যমে পাশে থেকে উৎসাহ  প্রদান করে যাচ্ছেন। তার লা

নিউজটি শেয়ার করুন

© All Rights Reserved sokolerbarta.com