October 2, 2023, 5:07 am
মোঃ মেহেদী হাসান কামরুল,
স্টাফ রিপোর্টার
শরীয়তপুর জেলার গোসাইরহাট উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি মোস্তফা কামাল ফরাজি এমনটি জানালেন গণমাধ্যমকে।
তিনি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে এর স্পষ্টতা স্ট্যাটাস এর মাধ্যমে প্রকাশ করেন। তার দেওয়া ফেসবুক স্ট্যাটাসটি হুবহু তুলে ধরা হল।
,,বিসমিল্লাহির রহমানীর রাহীম,,
,””আল্লাহ সর্ব শক্তিমান””
যাবতীয় প্রশংসা আল্লাহর। দুরুদ ও সালাম আল্লাহর রাসূল (সাঃ) এর উপর।
প্রিয়,
গোসাইরহাটবাসী/ ছাত্র -ছাত্রী/আমার রাজনৈতিক সহ- যোদ্ধারা/আমার শুভাকাঙ্খীরা,
,,,আসসালামু আলাইকুম,,,
আশা করি আপনারা ভাল
আছেন? আমিও ইনশাআল্লাহ ভালো আছি আমি মোস্তফা কামাল ফরাজী গোসাইরহাট উপজেলায় ১৯৯৮ সালে ইদিলপুর ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ২০০৩ সালে সভাপতি ২০১৫ -২০২০ সালে গোসাইরহাট উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি হিসেবে দীর্ঘদিন ছাত্রলীগের রাজনীতি করেছি।
এই রাজনীতি করতে গিয়ে অনেকের সাথে খারাপ আচরণ করেছি।
বিভিন্ন জায়গায় কমিটি করতে গিয়ে আওয়ামী লীগের অনেক নেতা, আমার প্রিয়জন, বড় ভাই, বন্ধুবান্ধবদের কথা রাখতে পারি নাই, এখানে আমার ব্যাক্তিগত কোন স্বার্থ ছিল না। আমি জেনে শুনে অথবা অযান্তে কাউকে দুঃখ দিয়ে থাকলে তাদের কাছে ক্ষমাপ্রার্থনা করছি।
মানুষ ভুল ত্রুটিবিচ্যুতির উর্ধে নয়। আমি ও আপনাদের মতন একজন মানুষ।
ছাত্রলীগকে সুসংগঠিত করার জন্য হয়তো অনেকের কথা রাখতে পারিনি, আমার সাথে যারা ছাত্রলীগকে সুসংগঠিত করার জন্য রাজপথে ছিলেন, যারা পদ প্রত্যাশী ছিলেন।
পদ পাননি তাদেরকে বলবো, হতাশ হবেন না আমি তোমাদের উজ্জ্বল ভবিষ্যত দেখতে পাচ্ছি, আজকের এই অবহেলা যদি তোমাকে ঘুরে দাড়াতে সাহায্য না করে তাহলে রাজনীতি করেও তুমি কিছু করতে পারতে না। এটুকু আমি নিশ্চিত। তবে নিজেকে অযোগ্য ভাবার কিছু নেই তোমাকে বুঝতে হবে ঐ সামান্য পদটি তোমার যোগ্য নয় কারণ তুমিতো সেরাদের সেরা।
হতাশার কিছু নেই বন্ধুগন শুধু মানুষের জন্য কাজ করার ইচ্ছা থাকলে পদ পজিশন না থাকলে ও জনগণের সেবা করা যায় শুধু মাত্র সেটা করার মানসিকতা থাকা চাই। আমি অবহেলিত, নির্যাতিত, শুষিতের পক্ষে আছি তোমাদেরকে সত্যের পথে আমন্ত্রণ জানাই। অনেক অনেক ভালোবাসা রইলো তোমাদের প্রতি।
ছাত্রলীগে সবাই পদ পাওয়ার যোগ্য, কিন্তু সবাইকে তো আর পদ দেওয়া যাবে না, জননেতা নাহিম রাজ্জাক যাদেরকে ভালবেসে দায়িত্ব দিয়েছেন তাদের সাথে মিলেমিশে কাজ করুন ও গোসাইরহাট উপজেলা ছাত্রলীগকে সুসংগঠিত করুন।
নতুন যারা নেতৃত্বে আসছেন এবং আগামীতে যারা নেতৃত্বে আসবেন তাদের প্রতি অনুরোধ ছাত্রলীগ সোনার ডিম পাড়া হাঁসে যেনো পরিনত না হয়। ছাত্রলীগের নাম ভাঙ্গিয়ে বিত্তশালী হওয়া ও ভোগবিলাসের সংস্কৃতি যেনো শুরু না হয়।
ছাত্রলীগের নেতারা প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে টেন্ডারবাজি, নিয়োগ, তদবির ও কমিটি বাণিজ্য, ঠিকাদারিসহ নানা কাজে জড়িত হয়ে যেনো না পড়ে। বিশেষভাবে খেয়াল রাখবেন কোনো ভাবেই যোনো জামায়াত, শিবির,ছাত্রদল, ছাত্রলীগে প্রবেশ না ঘটে।
আর আমার রাজনীতির পথ চলায় যারা আমাকে সার্বিক সহযোগিতা করেছেন এবং বিভিন্ন সময়ে আমাকে রাজনীতি করতে দিক নির্দেশনা দিয়েছেন।
আমি তাদের কাছে আবারো ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি, কোনো নেতাকর্মী এবং ছাত্রলীগের ভাই বন্ধুদের সাথে খারাপ আচরণ এবং বিমাতা সুলভ আচরণ করে থাকলে ক্ষমা করে দিবেন।
পরিশেষে বলবো,দল করি বঙ্গবন্ধুকে ভালবাসি বলেই দেশকে ভালবাসি বলেই, মনে রাখুন আমি নিজে কি পেলাম কি পেলাম না তার জন্য রাজনীতি করি না।
আমরা যারা তৃর্নমূল আওয়ামী লীগ আমরা চাই আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনা, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের রেখে যাওয়া সোনার বাংলাদেশ যেনো সোনার বাংলায় রূপান্তরিত করতে পারি সেটাই আমাদের চাওয়া পাওয়া। আর কিছু চাওয়া পাওয়ার আশায় রাজনীতি করি না।
সামনেও যেনো সৃষ্টিকর্তা যতদিন পর্যন্ত বাচিয়ে রাখেন ততদিন যেনো দেশের জন্য দেশের মানুষের জন্য দেশের সাধারন মানুষের জন্য যেনো কাজ করে যেতে পারি সেই চিন্তা চেতনা থেকে সামনের দিনগুলোতে পথচলা।
আমরা জয় বাংলার সৈনিক, আমরা বঙ্গবন্ধুর সৈনিক, আমরা শেখ হাসিনার সৈনিক, আমরা নাহিম রাজ্জাকের সৈনিক সেটাই আমাদের সবচেয়ে বড় পরিচয়।
,,, জয় বাংলা,,,
,,,জয় বঙ্গবন্ধু,,,
তিনি শুধু ছাত্র নেতা নয় তিনি ছিলেন একজন ত্যাগি নেতা।যা বুঝা যায় প্রতিটি ছাত্র নেতাদের ফেইসবুক স্ট্যাটাসে অনেকে তাকে রাজনৈতিক অভিভাবক হিসেবে গননা করেছেন। তার এই বিদায় কে কেউ মেনে নিতে পারে নি। তার প্রতি ভালোবাসা জানিয়েছেন প্রতেক নেতা বৃন্দ।