December 1, 2023, 2:13 pm
মনিরুজ্জামান স্টাফ রিপোর্টার যশোরঃচিত্রা নদী থেকে মৃত লাশ দেখতে পায় স্থানীয় লোকজন। লাশটি খাজুরা বাজারে ব্রিজের পাসে ভাসছিল ।বিকেল সাড়ে চারটার সময় লোকজন দেখতে পায়। ঘটনা স্থানে খাজুরা পুলিশ ফাঁড়ির এস আই জুম্মান হোসেন গিয়ে লাসটি উদ্দার করেন।
পরবর্তীতে লাশের পরিচয় মেলে। লাশের নাম মৃত খায়রুল ইসলাম(৪৫),পিতা-মৃত আহমদ আলী,গ্রাম বীর নারায়নপুর,যশোর সদর, যশোর,
“ঘটনাস্থল থেকে যারা দেখেছেন,তাদের মধ্যে লিয়াকত হোসেন জানান, আমরা দেখেছি লাশটি চিত্রা নদী দিয়ে ভেসে ব্রিজের দিকে আসছে। তখনই খাজুরা পুলিশ ফাঁড়িতে জানানো হয়। এরইমধ্যে শতশত লোক দেখার জন্য ভিড় জমায়।তার পর পুলিশ এসে লাশটি পানি থেকে উঠায়ে চাতালে রাখে।
লাশটির মাথায় অনেক গুলো ক্ষত দেখা যায়। দুই কানের নিচেই ক্ষত।মাথার পিছনে আঘাতের কারণে ফুলেছে। দুই চোখের উপরে আঘাতের কারণে রক্ত বের হয়েছে। সবার ধারণা ব্যক্তিটিকে মেরে নদীতে ফেলা হয়েছে।
“মৃত্য ব্যক্তির বড় ভাই কামরুল ইসলাম বলেন,আমার এই ভাইয়ের এসএসসি পরীক্ষা দেওয়ার সময় ব্রেন্টের সমস্যা হয়। তারপর ডাক্তার দেখানোর পরে কিছুটা সুস্থ হয়। এখন আবার ব্রেন্টের কিছুটা সমস্যা দেখা যায়। কিন্তু এমন অবস্থায় কোন মানুষকে ভয় দেখানো বা মারধর করে না। স্বাভাবিক মানুষের মত চলাফেরা করে। কিন্তু ১৫-১০-২০২০ং তারিখে সন্ধায় খুজা খুজি করে পায়নি।১৬ তারিখে সন্ধায় মৃত্য সংবাদ পায়।
মৃত্যের স্ত্রী কুলসুম (৩৫) বলেন,আমার স্বামীর মাথার সমস্যার কারনেই আমি প্রায় দেড় বছর বাপের বাড়ি চলে যায়। কিন্তু মাঝে মাঝে আমাদের বাড়ি আসে। কিন্তু আমি বাড়িতে পৌঁছে দিয়াসি। ১৫-১০-২০২০ইং তারিখে আমাদের এখানে আসেনি।আজ সন্ধায় শুনেছি মারা গেছে। আমার একটি ছেলে আছে যার বয়স (১৫) বছর। ছেলেটি আমার কাছে থাকে।
“খাজুরা পুলিশ ফাঁড়ির এসআই জুম্মান হোসেন জানান,আমরা এসে দেখি লাশটি নদীতে ভাসছিল। তারপর আমরা লাশটি উদ্ধার করি। ময়নাতদন্তের জন্য যশোর মর্গে পাঠানো হয়েছে। ডাক্তার রিপোর্ট করার পরে লাশটি পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।