September 25, 2023, 4:18 am

নোটিশ:
নিয়মিত পড়ুন এবং বিজ্ঞাপন দিন
সংবাদ শিরোনাম:
প্রতিনিয়তই গণসংযোগ করছেন মনোনয়ন প্রত্যাশী ”ডাঃ মোঃ তৌহিদুজ্জামান তুহিন “সুশৃঙ্খল সমাজ গঠনের প্রত্যয়ে, মিলেমিশে কাজ করবো একসাথে” শারদীয় দুর্গাপূজা ২০২৩ উদযাপন উপলক্ষে জেলা পুলিশ গোপালগঞ্জ এর নিরাপত্তাজনিত আলোচনা সভা’ নন্দীগ্রামে মুকুল হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় গ্রেফতার ৬ ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত শতাধিক পরিবারের পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছেন দিনাজপুর-৬ আসনের সংসদ সদস্য শিবলী সাদিক ঝিনাইদহে বিকাশ, রকেট, নগদ, উপায় প্রতারক চক্রের দুই সদস্য গ্রেফতার রাস্তা প্রশস্তকরণ সম্পন্ন হলে পাল্টে যাবে মহাদেবপুর কলাপাড়ায় বিশ্ব নদী দিবস উপলক্ষে প্রেসক্লাব চত্তরে মানববন্ধন সুদের টাকা দিতে না পারায় কৃষককে শিকলে বেঁধে নির্যাতনকারী, গ্রেফতার ০১ ডিবি পুলিশের অভিযানে গাঁজা,ইয়াবা দুই মাদক ব্যবসায়ী গ্রেফতার

এসএস ক্লিনিকে এ’কেমন অপচিকিৎসা ও প্রতারণা : নির্বিকার প্রশাসন

মোঃ সুমন হোসেন, ঝিকরগাছা (যশোর):
যশোরের ঝিকরগাছা পৌর সদরে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের গেটের সামনে অবস্থিত অবস্থিত এসএস ক্লিনিক এন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারের এ কেমন অপচিকিৎসার প্রতারণা শুরু হয়েছে ? ক্রমাগতই বেড়ে চলেছে অনিয়ম আর এই বিষয়ে প্রশাসনের দপ্তরে লিখিত অভিযোগ দিলেও প্রতিকার পাচ্ছে না কোন ভুক্তভোগী পরিবার। ক্লিনিকের মালিকের কর্মকান্ডের বিষয়ে কেউ মুখ খুলতে গেলে ধর্ষণ আর চাঁদাবাজির মামলা দেয়ার হুমকি পেতে হয় এমনকি নিস্তার পাই না এলাকার সংবাদকর্মীরাও! ঘটনার বিষয়ে ঠিকমত তদন্ত না করেই তার মুখের হাসির কাছে হার মেনে নিয়ে নির্বিকার সরকারি দপ্তরের প্রশাসন। ক্লিনিকের পরিচালক কথিত ডাঃ সোনিয়া আক্তার প্রকৃত ডিগ্রীধারী ডাক্তার না থাকলেও হোমিওপ্যাথিক ডিএইচএমএইচ ডিগ্রীর দৌলাতে তার ভিজিটিং কার্ডে ডাক্তার ব্যবহার করতে দেখা গেছে। এমনি তার স্বামী বাজারের টিভি ও কারেন্ট মিস্ত্রী শুকুর আলীর মাধ্যমে রক্তদাতার হাত থেকে রক্ত টানেন বলে অভিযোগ পাওয়া যায়। ক্লিনিকের পরিচালক কথিত ডাঃ সোনিয়া আক্তার মোবারাকপুর গ্রামের শামছুর রহমানের মেয়ে।
তথ্য অনুসন্ধানে দেখা যায়, এসএস ক্লিনিকের অপচিকিৎসা বা চিকিৎসার নামক প্রতারণার বিষয়ে আরো তথ্য ও প্রতারণার বিষয়ে মুখ খুলতে শুরু করেছে ভুক্তভোগীর পরিবারের সদস্যরা। বিভিন্ন অনলাইন ও প্রিন্ট মিডিয়াতে সংবাদ প্রকাশ হওয়ার পরে আবারও সামনে আসতে শুরু করেছে তাদের সকল কর্মকাণ্ড। হামলা, মামলা আর হয়রানির ভয়ে এতদিন মুখ না খুললেও এবার ভুক্তভোগী গন তাদের সাথে ঘটে যাওয়া ঘটনার বর্ণনা দিতে শুরু করেছেন।
ঝিকরগাছা প্রেসক্লাবের সিনিয়র সহ সভাপতি সাংবাদিক রফিকুল ইসলাম বলেন, বছর খানিক আগে আমার বড় মেয়ে মুমতাহিনা তন্বি (২৩) এর সিজারিয়ান অপারেশন করানোর জন্য এসএস ক্লিনিকে ভর্তি করে ছিলাম। সেখানে আমাদের সাথে কোনো পরামর্শ না করেই সিজার করতে গিয়ে আমার মেয়ের সন্তানের নাড়ি কেটে ফেলে ওখানকার অনকলে আসা ডাক্তার। এটা নিয়ে প্রতিবাদ করলে ক্লিনিক থেকে বলা হয় সন্তানের নাড়ি কেটে না ফেললে রুগীকে বাঁচানো যেতোনা। তিনি আরও বলেন, সিজারের এক সপ্তাহ আগেও আলট্রাসনোগ্রাফি রিপোর্টে এসংক্রান্ত কোনো জটিলতা আমার মেয়ের ছিলনা। আমার মেয়েটি ভুল চিকিৎসার শিকার হয়ে আর কোনোদিন সে মা হতে পারবেনা।
বাজারের প্রসিদ্ধ নুর হোটেলের স্বত্বাধিকারী নুর ইসলাম ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে মারা যায়। মারা যাওয়ার কিছুদিন পূর্বে ডাক্তার তার রক্তের হিমোগ্লোবিন পরীক্ষার জন্য বলেন। তখন তার স্ত্রী এবং পুত্র রক্ত পরীক্ষার জন্য তাকে এসএস ক্লিনিকে নিয়ে যান। নুর ইসলামের পুত্র অনিক হোসেন বলেন, আমার আব্বার অবস্থা খারাপ ছিল। এস এস ক্লিনিক থেকে রক্ত পরীক্ষা করালে তারা রিপোর্ট দেয় আমার আব্বার শরীরে হিমোগ্লোবিনের পরিমান ১৯ পয়েন্ট। অথচ চিকিৎসা শাস্ত্র মতে পৃথিবীর কোনো পুরুষের হিমোগ্লোবিন ১৭.৫ এর বেশি হতে পারে না। যখন এই রিপোর্টের ভুল ধরা পড়ে তখন এসএস ক্লিনিক থেকে বলা হয় প্রিন্টে ভুল হয়েছে।
এছাড়াও বিভিন্ন অনলাইন ও প্রিন্ট মিডিয়াতে এসএস ক্লিনিকের বিরুদ্ধে প্রকাশিত রিপোর্ট যোগাযোগের মাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হলে অনেকেই এই ক্লিনিকের বিরুদ্ধে কমেন্ট করেছেন। রঘুনাথনগর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক আজলেহা পারভীন লেখেন, আমি আমার বাড়ির কাজের মহিলার মেয়েকে সিজার করতে ওখানে নিয়ে গিয়েছিলাম কিন্তু তাদের ব্যবহার ভালো ছিল না। মামুন হাসান চৌধুরী নামের একজন লিখেছেন, এখানে সব দুনম্বরী কাজকর্ম হয়, মানুষকে হয়রানি করা হয়। এর সাথে হাসপাতালের কিছু লোক জড়িত। এমডি রাসেল বিশ্বাস নামে আর একজন লিখেছেন, আমরাও প্রতারণার শিকার হয়েছি। তবে তিনি কি ধরনের প্রতারণার শিকার হয়েছেন সেটা লেখেননি। মহসীন রেজা চৌধুরী নামের একজন লিখেছেন, তার (ক্লিনিকের পরিচালক কথিত ডাক্তার সোনিয়া) পাতা ফাঁদে ফেলে বহু মানুষকে ধ্বংস করে দিয়েছে, সে প্রথম শ্রেণির একজন প্রতারক। সাধারণ রুগীদের কথার ফাঁদে ফেলে প্রতারণা করে।
এদিকে এসএস ক্লিনিক নিয়ে একের পর এক রিপোর্ট প্রকাশিত হওয়ার পরও প্রশাসন কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ না করায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন এলাকার সুশীল সমাজ।
ক্লিনিকের পরিচালক কথিত ডাঃ সোনিয়া আক্তারের সাথে মোবাইলে যোগাযোগ করতে গেলে তার ফোনে কল যায়নি।
যশোর জেলা সিভিল সার্জন বিপ্লব কান্তি বিশ্বাস বলেন, আমি ট্রেনিংয়ে ঢাকাতে আছি । ট্রেনিং শেষে যশোরে ফিরে বিষয়টি দেখবো।

নিউজটি শেয়ার করুন

© All Rights Reserved sokolerbarta.com