September 25, 2023, 3:06 am
“ফিরোজ মাহমুদ,ঈশ্বরদী থেকে”
আর কয়েকদিন পরই ঈদ-উল-আজহা। এ জন্য ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন ঈশ্বরদী উপজেলার বিভিন্ন কামারপট্টির কারিগররা। ঈদের চাহিদার কথা বিবেচনা করে দাঁসা, চাকু, বঁটি, কুড়ালসহ লোহার সরঞ্জাম তৈরিতে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন তারা। বছরের এ সময় চাহিদা বেশি থাকায় কামাররা ভাল উপার্জন করে থাকেন। যেহেতু কোরবানির পশু জবাই ও গোশত প্রস্তুত করতে চাই ধারালো দাঁসা, বঁটি, কুড়াল ও চাকু। তাই কয়লার চুলায় দগদগে আগুনে গরম লোহার পিটাপিটিতে টুং টাং শব্দে মুখর হয়ে উঠেছে জেলার কামারশালাগুলো। ঈদে গরু,ছাগল,ভেড়া ও মহিষ কোরবানির পশু হিসেবে জবাই করা হয়। সকাল থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত কোরবানির পশু জবাই চলে। এসব পশুর গোশত কাটতে দাঁসা-বঁটি, চাকু ও কুড়াল ইত্যাদি ধাতব ধারালো অস্ত্র অপরিহার্য।
ঈশ্বরদী উপজেলা রোড,কর্মকার জানান, বংশানুক্রমিকভাবে এ কাজ করছি। প্রতিবছরই কোরবানি ঈদের জন্য অপেক্ষায় থাকি। ঈদ মৌসুমে আমাদের মূল টার্গেট থাকে বছরের কয়েকটা দিন বাড়তি টাকা উপার্জন করা।
সরেজমিন জেলার বিভিন্ন জায়গা ঘুরে দেখা যায়, আসন্ন কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে অনেক ব্যস্ত সময় পার করছেন কামাররা। পশু জবাইয়ের সরঞ্জামাদি কিনতেও লোকজন ভিড় করছেন তাদের দোকানে। আগে যেসব দোকানে দু’জন করে শ্রমিক কাজ করত, এখন সেসব দোকানে ৫-৬ জন করে শ্রমিক কাজ করছেন।